হাত ধোয়ার সঠিক নিয়ম – জীবাণুমুক্ত থাকার ৭টি সহজ ধাপ

সঠিকভাবে হাত ধোয়া শুধু স্বাস্থ্য রক্ষা নয়, বরং জীবাণু, ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে অন্যতম কার্যকর উপায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বারবার বলে থাকেন—সঠিক নিয়মে হাত ধোয়া হাজারো রোগ থেকে আপনাকে ও আপনার পরিবারকে বাঁচাতে পারে।


এই পোস্টে আমরা জানবো হাত ধোয়ার সঠিক নিয়ম, কখন হাত ধোয়া জরুরি, এবং সাধারণ ভুলগুলো কীভাবে এড়ানো যায়।

পোস্ট সুচিপত্রঃ জীবাণুমুক্ত থাকার ৭টি সহজ ধাপ

হাত ধোয়ার সঠিক নিয়ম (৭টি ধাপ অনুসরণ করুন)

ধাপ ১: হাত ভেজান

পরিষ্কার, প্রবাহমান পানি (নরমাল বা গরম) দিয়ে হাত ভালোভাবে ভিজিয়ে নিন।

ধাপ ২: সাবান ব্যবহার করুন

হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে সাবান নিন – লিকুইড হোক বা সলিড।

ধাপ ৩: হাত ঘষুন কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড

  • দুই হাতের তালু
  • আঙুলের ফাঁক
  • নখের নিচ
  • হাতের পেছনের দিক
  • বুড়ো আঙুল

ধাপ ৪: হাত ঘষে ফেনা তৈরি করুন

অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে ফেনা তৈরি করে পুরো হাতে ভালোভাবে ঘষুন।

ধাপ ৫: পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন

প্রবাহমান পানিতে সাবান ও ফেনা ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।

ধাপ ৬: টিস্যু বা পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মুছুন

পরিষ্কার তোয়ালে বা পেপার টাওয়েল দিয়ে হাত শুকিয়ে ফেলুন।

ধাপ ৭: পানির কল বন্ধ করুন টিস্যু দিয়ে

সরাসরি হাতে না ছুঁয়ে টিস্যু দিয়ে পানির কল বন্ধ করুন।

কখন হাত ধোয়া জরুরি?

  • খাবার প্রস্তুত বা খাওয়ার আগে ও পরে
  • টয়লেট ব্যবহারের পর
  • বাহির থেকে ঘরে ফেরার পর
  • হাঁচি-কাশি দেওয়ার পর
  • পশুপাখির সংস্পর্শে আসার পর
  • অসুস্থ কাউকে ছোঁয়ার আগে/পরে

সচরাচর কিছু ভুল, যেগুলো এড়াতে হবে

  •  শুধু পানি দিয়ে হাত ধোয়া
  •  মাত্র ৫-১০ সেকেন্ডে হাত ধুয়ে ফেলা
  • নখের নিচ পরিষ্কার না করা
  • তোয়ালে বারবার ব্যবহার করা

হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে আপনি নিজে যেমন সুস্থ থাকবেন, তেমনি অন্যদেরও সুরক্ষিত রাখবেন। মনে রাখবেন, “সঠিক নিয়মে হাত ধোয়া = সুস্থ জীবন”।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডেইলি মিক্স24 এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url